আমি এই ব্লোগ এ আমার অনলাইন আর্ন সম্পর্কে বিস্তারিত লিখব এবং নতুনদের জন্য নতুন টিপস দিব যাতে সে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারে , ফ্রি ট্রেনিং , ফ্রি ভিডিও , ফ্রি গাইড লাইন এবং সবসময় পরামর্শ দিব। আমার সাথে যোগাযোগ এর জন্য ফেইসবুক পেজ এ লাইক , Twitter এ ফলো , Google+ ফলো , Linkedin ফলো , Pinterst ফলো , Youtube সাবস্ক্রাইব করে রাখেন আজই
স্বাস্হ্য ডেস্ক :মসলা হিসেবে রসুন আমাদের সকলের কাছেই
পরিচিত। ডাক্তারী ভাষায়
রসুনকে বলা হয় গরীবের পেনিসিলিন। এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune
booster হিসাবে কাজ করে।কাঁচা
রসুন সেবনে শরীর সুস্থ থাকে। আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রান্নায় অনন্য স্বাদ যুক্ত করে রসুন। শত্তিশালী সুঘ্রাণের কারণে সবজি, মাংস থেকে
শুরু করে কাচ্চি, কারি রান্না রসুন ছাড়া চিন্তাই করা যায় না।
উপমহাদেশের রান্নায় দীর্ঘদিন ধরেই রসুন ব্যবহার হচ্ছে। আর
বহির্বিশ্বে এর পরিচিতি কম নয়। রসুনকে অনেকেই বলে থাকেন ‘পাওয়ার হাউস অব মেডিসিন
অ্যান্ড ফ্লেভার।কারণ কাঁচা বা সিদ্ধ রসুন
কোয়া সেবনে শরীর সুস্থ থাকে। আর নিয়মিত সেবনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়,
ভারত উপমহাদেশে আদিকাল থেকেই বিভিন্ন রোগে কাঁচা রসুন সেবনের
প্রচলন আছে। এ ছাড়া আরো অনেক কাজে রসুন ব্যবহার হয়। অনেক সংস্কৃতিতেই এখনো রসুনের
ব্যবহার বেশ প্রচলিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা পোকা দমণে রসুন ব্যবহার করেছেন, তেমনি
মধ্যযুগে ইউরোপবাসী এটি ব্যবহার করেছেন প্লেগ দমনে।
রসুনে আছে সালভারভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন, যা অনেক রোগ নিরাময়ে
কাজ করে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ায় শরীরে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাশ প্রতিরোধী ক্ষমতা
তৈরি হয়। অনেকের দাবি, রসুন নিয়মিত সেবনে অনেক ক্যানসার প্রতিরোধ হয়।
যৌন অক্ষমতা :যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
বিশেষ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনার কারণে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে গেলে রসুনের মাধ্যমে
তা পুণরায় ফিরে পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে
খেলে হারানো যৌন অক্ষমতা ফিরে পাওয়া যায়। যারা খালি কাঁচা রুসন খেতে পারেন না তারা
গমের আটার তৈরি রুটির সাথেও কাঁচা রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে স্পার্ম
তৈরির মাত্রা বেড়ে যায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে থাকে।
তাহলে আসুন দেখে নেই কিভাবে আপনার পিন্টারেস্ট কে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন।
৬. পিন এর ভিতর টেক্সট ব্যাবহার করুনঃ
পিন্টারেস্ট এ এমন অনেক পিন পাওয়া যায় যাতে টেক্সট যুক্ত থাকে, এবং ওই টেক্সট টি একটা আর্টিকেল এর হেডলাইন নির্দেশ করে।
ইমেজ এ টেক্সট ইউজ করার জন্য আপনি একইভাবে ফটোশপ কিংবা Gimp অথবা Canva এর মত অনলাইন টুল ব্যাবহার করতে পারেন।
সাধারণত যে সকল ইমেজ গুলাতে টেক্সট ব্যবহার করা উচিত তা হল, ইনফো গ্রাফিকস, ব্লগ গ্রাফিকস, বুক কভার ইত্যাদি।
নিচে একটা ট্রাভেল বোর্ড এর টেক্সট পিন এর উদাহরণ দেওয়া হলঃ
এই পিন গুলাতে খেয়াল করলে টেক্সট সহ পিন এবং টেক্সট বাদে পিন গুলার যে পার্থক্য দেখতে পাবেন, তা হল,
টেক্সট সহ পিনঃ ৩ রিপিন, ১ লাইক
টেক্সট ছাড়া পিনঃ ১ রিপিন, ১ লাইক
৭. “Pin It for Later”বাটন তৈরিঃ
সোশ্যাল মিডিয়া তে যখন কোন ব্লগ পোস্ট শেয়ার করা হয়, তখন আপনি পাঠকদের জন্য “read-it-later” অপশন অ্যাড করে দিতে পারেন। এতে করে আপনার অডিয়েন্স কে সহজ উপায়ে ধরার একটা সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।
দেখুন কিভাবে আপনি আপনার পিন এ সঠিকভাবে “Pin It for Later”বাটনঅ্যাড করবেনঃ
নতুন একটা আর্টিকেল পোস্ট করার পরে অই পোস্ট এর একটা ইমেজ পিন করুন।
পিন এর জন্য URL টি নিন।
এবার URL টি অই ব্লগ পোস্ট এর সাথে “Pin It for Later”এর মাধ্যমে পিন্টারেস্ট এ শেয়ার করুন।
এই আইডিয়া ফলো করলে দেখবেন ভিজিটর আপনার পিন টি তাদের বোর্ড এ অ্যাড করছে, এবং পরবর্তী তে আবার আপনার কন্টেন্ট এ রিটার্ন করবে এবং এতে করে আপনার এঙ্গেজমেন্ট বাড়বে।
৮. কিওয়ার্ড-রিচ বা নিশ সংশ্লিষ্ট বোর্ড তৈরি করুন আপনার ব্লগের জন্যঃ
আপনার রিলেটেড বোর্ড তৈরি করুন। যখন কিওয়ার্ড রিলেটেড বোর্ড তৈরি হয় তখন অই বোর্ডটি আলাদা একটি গুরুত্ব বহন করে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন বাফার ব্লগ এ কিছু বোর্ড আছে “social media” “marketing,” এবং “Twitter”ইত্যাদি নামে। যেগুলা আসলে আপনার কন্টেন্ট গুলি অটোমেটিক অপ্টিমাইজড হয়ে যাবে, এবং ভিজিটরেরা সহজেই সবকিছু আলাদা ভাবে একটি গোছালো অবস্থায় পাবে।
নিচে দশটি পপুলার বোর্ড এর ত্রিশ দিনের একটি ফলাফল দেখানো হলঃ
আর দ্বিতীয় বোর্ডটি তে একটু শর্ট এবং আকর্ষণীয় ডেসক্রিপশন ব্যাবহার করা হয়েছে,
পরিশেষে বলা যায়, কিওয়ার্ড রিলেটেড বোর্ড গুলি সহজেই ভিজিটরদের কাছে বেশি পছন্দনীয় এবং আপনার পিন এর ডেসক্রিপশন ও হতে হবে কিওয়ার্ড ফ্রেন্ডলি। তাহলে দেখবেন অবশ্যই আগের চেয়ে ভালো ফলাফল পাবেন।
নিয়ে নিন আরও কিছু পাঁচমিশালি টিপসঃ
নিচে আরও কিছু পিন্টারেস্ট এর জন্য উপযোগী কিছু টিপস উল্লেখ করা হল, যা আপনার কাজেও লাগতে পারে।
১। বোর্ড গুলিকে ক্যাটাগরি অনুসারে ভাগ করুন। এতে করে আপনার ফলোয়ার রা আপনার পিন গুলা সহজেই খুজে পাবে।
২। বিভিন্ন জনপ্রিয় বোর্ড খুজে বের করুন, (এর জন্য আপনি PinGroupie এর সাহায্য নিতে পারেন) আর তাদের সাথে আপনার বোর্ড গুলি কন্ট্রিবিউট করুন।
৩। আপনার পিন্টারেস্ট এর পরিসংখ্যান চেক করুন প্রতিনিয়ত। এতে আপনি আপনার কাজের ফলাফল বুঝতে পারবেন। চেক করতে এখানে যাবেন।
৪। আপনার পিন এ বর্ডার বা রাউন্ড কর্নার এবং এসব কোন ইফেক্ট ব্যাবহারে বিরত থাকুন।
৫। পিন করার আগে সেই ইমেজ এর ব্রাইটনেস এবং সেচুরেশন বাড়িয়ে নিবেন যতটা সম্ভব। চকচকে সবকিছুই ভালো লাগে।
৬। আপনার তৈরি ইমেজ এর নিচের কর্নার এ আপনার কোম্পানীর লোগো বা ব্র্যান্ড নেম ইউজ করতে পারেন।
৭। পিন্টারেস্ট এর লাইক রেসপন্স থেকে রিপিন এর ধারনা নিন। এতে বুঝতে পারবেন কোন ধরনের পিন এ কেমন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
৮। এক একটা টপিক এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন বোর্ড ফলো করুন।
৯। আপনার সাইটের ডোমেইন ভেরিফাই করুন, এবং আপনার বায়ো তে একটি লিঙ্ক দিন।
১০। আপনার পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্টটি ফেসবুক এবং টুইটার এর সাথে লিঙ্কিং করুন।
১১। আপনার বোর্ড এ পিন করার জন্য বিভিন্ন কন্ট্রিবিউটরদের ইনভাইট করুন।
আবার আপনাদের পিন্টারেস্ট টিম এর দেওয়া সবচেয়ে দামি উপদেশটি শেয়ার করবঃ
Don’t just show people your hiking boots, show them what they can do with your hiking boots.
অর্থাৎ মানুষকে শুধু আপনার হাইকিং বুট দেখাবেন না, আপনি তাদের দেখান যে তারা আপনার হাইকিং বুট দিয়ে কি কি করতে পারেন।
কিছু হেল্পফুল রিসোর্স, যা নিয়মিত পড়শুনা করলে আপনার পিন্টারেস্ট কে নিয়ে যাবে আরও অনেক উপরেঃ
হ্যালো সোসাইটির কন্টেন্ট তৈরির বিভিন্ন উপায় জানতে এই লিঙ্ক এ যান,
পিন্টারেস্ট বিজনেস ব্লগ অনেক ভালো ভালো মার্কেটিং টিপস এবং কৌশল শেয়ার করে তাদের ভিডিও এবং পিন পোস্ট এ। এখানে তার মধ্য থেকে একটি সুপার আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ভার্টিকাল বা লম্বাকৃতির ইমেজ পিন এর জন্য সবচেয়ে ভাল,
পিন্টারেস্ট এ ইমেজ পিন করার জন্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অনুপাত হলো, 2:3 অথবা 1:3.5 তবে সেই ইমেজটা যেন সর্বনিম্ন 600 পিক্সেল ওয়াইড (প্রস্থ) হয়।
কারণ, পিনগুলা সবথেকে ভালো দেখায় যখন তা লম্বালম্বি ভাবে সাজানো থাকে।
যদি ইমেজের আকৃতির অনুপাত 1:3.5 এর চেয়ে বেশি হয়ে যায় তাইলে কিন্তু পিনটি কাটা পড়ে যাবে। তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে 600 পিক্সেল প্রস্থের ইমেজটি যেন অবশ্যই 900 পিক্সেল এবং 2100 পিক্সেল এর বেশি লম্বা যেন না হয়।
আচ্ছা এখন প্রশ্ন হতে পারে আমার ইমেজটির সাইজ আবার আনুপাতিক হারে কেমন ভাবে মাপতে পারি? এটা আসলে ইমেজ এর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের এর উপর নির্ভর করে।
উদাহরণস্বরূপঃ
2:3 অনুপাতের ইমেজটি হতে হবে,
দৈর্ঘ্য পিক্সেল 900 এবং প্রস্থ 600 পিক্সেল
দৈর্ঘ্য পিক্সেল 1200 এবং প্রস্থ 800 পিক্সেল
এবং, 1:3.5 অনুপাতের ইমেজটি হতে হবে,
দৈর্ঘ্য পিক্সেল 2100 এবং প্রস্থ 600 পিক্সেল
দৈর্ঘ্য পিক্সেল 2800 এবং প্রস্থ 400 পিক্সেল
নিচে একটি 2:3 অনুপাত আকৃতির একটি ইমেজ দেওয়া হলো,
পরের ইমেজটি 1:3.5 অনুপাত আকৃতির,
ভাবছেন কিভাবে একটি পিন্টারেস্ট অপ্টিমাইজড ইমেজ তৈরি করবেন?
আপনি খুব সহজেই এরকম সাইজের ইমেজ তৈরি করতে পারবেন, এটা খুবই সিমপিল একটা বিষয়। নির্দিষ্ট সাইজে বা আনুপাতিক হারে ইমেজ রিসাইজ করার জন্য ফটোশপ অথবা Gimp ইউজ করতে পারেন।
যদি আপনি অনলাইন টুল পছন্দ করেন তাইলে Canva তে এডিট করতে পারেন। এতে পিন্টারেস্ট এর কিছু টেম্পলেট পাবেন যা 735 পিক্সেল প্রস্থ এবং 1,102 পিক্সেল দৈর্ঘ্য (2:3 অনুপাত আকৃতি)
পিন্টারেস্টে যদি ইমেজ অপ্টিমাইজড পিন করেন তাহলে, কিছু না হোক আপনার পিন রিপিন এর সংখ্যা সাধারন ইমেজ এর থেকে কয়েক গুন বাড়বে। এটা বিশ্বাস না হলে কিছুদিন ট্রাই করেই দেখুন।
৪. কিওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট ভালো ডেসক্রিপশন কি এবং কিভাবে করবেনঃ
ভিডিও টি দেখুন আগে,
উপরের ভিডিওতে পিন্টারেস্ট টিম পাঁচটি উপায় দেখিয়েছে যে কিভাবে আপনি ডেসক্রিপশন এর সাহায্যে আপনার পিনটি মূল্যবান করে তুলবেন ভিজিটরদের কাছে। সেগুলো হচ্ছে,
তথ্যসমৃদ্ধ বিবরণ
কিওয়ার্ড সমূহ
দুই-এক লাইন দীর্ঘ বর্ননা
ইতিবাচক মনোভাব
পাঠকদের কার্যকলাপকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করুন, যেমন শেয়ার, বা লিঙ্ক অ্যাড এর জায়গা থাকলে সেগুলাতে উৎসাহিত করুন।
আরও কিছু বিষয়ের উপর খেয়াল রাখা জুরুরি যা আপনার পিন্টারেস্ট এ আরো স্মার্ট পিনিং করতে সাহায্য করবে, তা হলঃ
লেখার ভিতর সঠিকভাবে ক্যাপিটালাইজেশন (ইংরেজির ক্ষেত্রে) এবং যতিচিহ্ন এর ব্যাবহার আবশ্যক। এতে ব্যাকারণ ঠিক থাকে সেই সাথে পড়তে ভালো হয়।
হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার না করা।
কোন প্রমোশনাল অফার এর তথ্য না দেওয়া (যেমনঃ ২০% ছাড়, পাঁচটা কিনলে ৫০ টাকা)
‘Buy now’ বা ‘Shop now’ টাইপের কল টু অ্যাকশন সহ পিন না দেওয়া।
পিন্টারেস্ট এর কার্যকারিতা (যেমন পিন) এর জন্য কোন ধরনের উল্লেখ বা অনুরধ না করা(Click here to pin)।
গ্রিড ভিউ তে যেখানে 75-100 ক্যারেক্টার দেখতে পাওয়া যায় সেখানে আপনি 500 ক্যারেক্টার পর্যন্ত অ্যাড করতে পারবেন, এবং যখন তারা ক্লিক করবে তখন পুরা বিস্তারিত দেখতে পারবে। সাধারনভাবে বলতে গেলে একটা কথা যে, বেশি লেখা বা ডেসক্রিপশন বেশি হলে কিন্তু সেটা পাঠকের মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আর সার্চ রেজাল্ট থেকেও সহজে ভিজিটর পাওয়ার সুযোগ করে দিবে।
এইগুলা সব শুনতে খুব ভালো টিপস বা উপদেশ মনে হলেও এগুলা কিন্তু সব পরীক্ষিত, এখানে যতগুলা উপায় আছে সবগুলা সাধারণ মনে হলেও কাজের জন্য কিন্তু খুবই ভালো।
নোটঃ শুরুর দিকে আপনার পিন্টারেস্ট এর অ্যাক্টিভিটি সব সময় ভালো রাখবেন, তবে ভিজিটরদের রেসপন্স নিয়ে চিন্তিত হবার কোন দরকার নেই। প্রারম্ভিক ফলাফল হিসাবে প্রতিটি পোস্টে তিন বা এর বেশি রিপিন হলেই সেটা অনেক। তবে এই ফলাফল কিন্তু পরিবর্তন হতে পারে সেটা আপনি আপনার প্রোফাইলের অ্যাক্টিভিটি দেখে বুঝতে পারবেন। তবে আশা করা যায়, আপনি অবশ্যই এই সকল বিষয় ফলো করলে দিন দিন ভালো ফলাফল পাবেন।
শর্ট ডেসক্রিপশন এবং লং ডেসক্রিপশন নিয়ে একটি কেস স্টাডিঃ
এখানে দুইটা পিন এর উদাহরণ দেওয়া হলো, যেটা দেখলে আপনি বুঝবেন যে শর্ট বা লং ডেসক্রিপশন এর চাইতে ডেসক্রিপশন এ কিওয়ার্ড এর উপস্থিতি কতটুকু পিন-রিপিন বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং যেমনটা চাই তথ্যবহুল বিবরণ তেমনি এর ভিতর সঠিকভাবে কিওয়ার্ড এর ব্যাবহার (সহজে ভালো মানের ডেসক্রিপশন এর জন্য পিন্টারেস্ট বাটন অ্যাড করে নিতে পারেন, বাফার এর এক্সটেনশনটা ও কিন্তু খারাপ না)
নিচের পিনটি বাফার এর টপ পিন গুলার একটি, এতে কিন্তু মাত্র 100 বা তার কম ক্যারেক্টার ইউজ করা হয়েছে,
এবার নিচে একটি লং ডেসক্রিপশন এর পিন দেখুন। এতে কিন্তু ফ্যান এনগেজমেন্ট এর সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, সার্চ রেজাল্টে খুজে পাবার জন্য একটু বেশি বিবরণ এবং কিওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট ডেসক্রিপশন খুবই মূল্যবান ভূমিকা পালন করে।
হ্যাশট্যাগ বনাম নো হ্যাশট্যাগঃ
পিন্টারেস্ট এ আসলে যা দেখা যায় তা হল হ্যাশট্যাগ ইউজ না করাই সব থেকে ভালো। এ সম্পর্কে বাফার টিম যা বলে সেটা এরকম যে, তারা হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করে কোন উল্লেখযোগ্য ফলাফল পায়নি, আর তাদের পিন্টারেস্ট মার্কেটিং টিম পরীক্ষা করে দেখেছে যে হ্যাশট্যাগ আসলে উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলতে পারেনা পিন্টারেস্ট এ। তারমানে ফ্যান এনগেজমেন্ট এর উপর হ্যাশ্তয়াগ এর কোন অবদান বা প্রভাব নেই।
লিঙ্ক দেওয়া কতটুকু গুরুত্বপূর্ণঃ
ভিজিটরদেরকে “click for mone information” অপশন টা দিয়ে পিন্টারেস্ট চরম একটা কাজ করেছে। এটি ক্লিকএবল পিন, আর যদি রিচ পিন হয় তাইলে তো ইনফরমেশন এবং লিঙ্ক খুব সহজেই বসানো যায়।
লিঙ্ক সহ পিন করলে সেটার ভ্যালু সব সময় একটু বেশী পাবেন। আর লিঙ্ক সহ পিন গুলা টপ পিন হবার সম্ভাবনা ৯০%
৫. একই পিনে একাধিক ইমেজ ব্যাবহার করাঃ
আপনি কি কখনো খেয়াল করেছেন যে পিন্টারেস্ট এর কিছু টপ লেভেল এবং জনপ্রিয় পোস্ট এ অনেক গুলা ইমেজ একসাথে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরকম একাধিক ইমেজ ব্যাবহারে জন্য কিন্তু “ডু ইট ইউরসেলফ” পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কার্যকরি। নিজেই যদি একটু ভেবে চিন্তে কয়েকটি রিলেটেড ইমেজ সাজিয়ে সুন্দর করে একটা পোস্ট দিয়ে দেন, দেখবেন সিঙ্গেল ইমেজের পিন এর চাইতে এই গুলা মাঝে মাঝে অনেক বেশি পপুলার হয়।
একাধিক ইমেজ দিয়ে এরকম মেগা ইমেজ তৈরি করার জন্য Canvaএর টেমপ্লেট গুলা কিন্তু আসলেই আপনাকে দারুন কিছু তৈরি করতে সাহায্য করবে।
নিচে এর টেম্পলেটের নমুনা পেজটি দেখুন,
একটা প্রশ্ন থাকতে পারে যে, এই মাল্টি ইমেজ কৌশলটি পিনের জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে কতটুকু কন্টেন্ট এবং নিশ এর উপর নির্ভর করে?
আচ্ছা, তাহলে আপনাদেরকে একটি উদাহরণ দেখাবো, যেখানে মাল্টি ইমেজ দিয়ে সামান্য একটা সোশ্যাল মিডিয়া টিপস এর পিন কেমন কাজ করে। এখানে কিন্তু ভালো ভালো নিশ যেমন বিউটি, হেল্থ, কুকিং এহুলার কাছে নাই বা গেলাম।
এটি বাফার এর একটি সাম্প্রতিক ব্লগ পোস্ট যেখানে অন্যানয় সিম্পল পিনের তুলনায় এই পিনটাতে প্রায় দ্বিগুণ রিপিন পাওয়া গেছে। ইমেজটিও Canva টেমপ্লেট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং এর সাইজ 735 পিক্সেল/1,102 পিক্সেল।
আজ এ পর্যন্তই, পিন্টারেস্ট এর উপর শেষের পর্বে থাকছে আপনাদের জন্য এক্সক্লুসিভ টিপস। সেই সাথে আরো পাবেন,
টেক্সট সহ পিন তৈরি,
“Pin It for Later” লিঙ্ক তৈরি,
ব্লগ পোস্টের জন্য কিওয়ার্ড-রিচ বোর্ড ,
পিন্টারেস্ট মার্কেটিং রিলেটেড আরো বিবিধ টিপসসমূহ,
কিছু হেল্পফুল রিসোর্স যা আপনার পিন্টারেস্ট কে আরো বেশী জনপ্রিয় করে তুলবে
সাত কোটিরও বেশি সংখ্যক যাদের মধ্যে বেশিরভাগ ব্লগার, কোম্পানী,
ব্র্যান্ড এবং ব্যাবসা সমূহ নিয়ে পিন্টারেস্ট বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে
অনেক বড় একটা প্রভাব নিয়ে আছে। আপনার অডিয়েন্সকে পাবার জন্য পিন্টারেস্ট
একটা অসাধারণ জায়গা যেখানে ভিজিটরেরা বিভিন্নভাবে আসে। ফটো শেয়ারিং সাইট
হলেও, বিজনেস এর দিক দিয়ে পিন্টারেস্ট এর মত সুবিধাজনক জায়গা অন্যান্য
সোশ্যাল মিডিয়াতে পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।
পিন্টারেস্ট মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে অনেক অনেক কৌশল এবং টিপস
খুজে পাওয়া যায়। আমরা আজকে আলোচনা করবো বিভিন্ন প্রকার পিন্টারেস্ট
মার্কেটিং টিপস নিয়ে যা বাফার পিন্টারেস্ট মার্কেটিং টিম দ্বারা পরীক্ষিত এবং এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন কোন পদ্ধতিটা বেশি কার্যকরী।
পিন্টারেস্ট এ ভালো করার জন্য যে আটটি টিপস আপনাকে ফলো করতেই হবে তা হলো,
১। প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ বার পিন করতে হবে।
২। পিন শিডিউল তৈরি করতে হবে।
৩। আপনার ওয়েব সাইটে রিচ পিন অ্যাড করার জন্য এপ্লাই করুন।
৪। “Pin it for later” বাটন এ্যাড করুন।
৫। আপনার ইমেজটি সঠিক ভাবে রিসাইজ করুন।
৬। ইমেজ তৈরির সময় এবং পিন করার সময় টেক্সট ব্যাবহার করুন।
৭। কিওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট ডেসক্রিপশন দিতে হবে এবং বোর্ড তৈরি করতে হবে।
৮। ডেসক্রিপশন এ আপনার প্রয়োজনীয় লিঙ্ক ইউজ করুন।
এখন আমরা পিন্টারেস্ট মার্কেটং গ্রুপ এ সরাসরি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এমন কিছু টিপস এবং কেস স্টাডি দেখবো,
১. বেশি বেশি করে পিন করুনঃ
বর্তমানে এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি হলো বেশি বেশি
পিন করা। দিনে একবার কিংবা দুইবার পিন করার চেয়ে প্রতিদিন দশবার করে পিন
করুন, এতে আপনার ফ্যান এনগেজমেন্ট প্রায় দেড়গুণ বেড়ে যাবে যা পিন্টারেস্ট
মার্কেটং টিম থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে বলা হয়েছে।
এমনকি টিমের একজন মেম্বার Courteney উনার পিন্টারেস্ট এর পিনিং রিসার্চ
রেজাল্ট থেকে বলেছেন, পাঁচ থেকে ত্রিশবার পর্যন্ত পিন করা উত্তম। পিন করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিষয় বিবেচনা করে করা উচিত যেমনঃ
সময়ের আগে পুর্বপরিকল্পনা করে কোন কাজ করতে পারলে সেটা আমাদের কাজকে
বহুগুণে সহজ করে দেয়। আমরা সবসময় শ্রেণীবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন ভালো ভালো
কন্টেন্ট গুলা পিন্টারেস্ট এ শেয়ার করতে পারি, এবং এটাকে একটা শিডিউল এর
মধ্যে আনতে পারলে কিছু দিনের মধ্যেই একটা ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
আপনি যে পিন গুলা করছেন সেগুলা সাজিয়ে রাখা কিন্তু আপনার অডিয়েন্স এর
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য একই ধরনের কন্টেন্ট এর ক্ষেত্রে কন্টেন্ট
গুলা সারিবদ্ধভাবে এবং সময়ের সাথে ঠিক রেখে পোস্ট করতে হবে এতে কন্টেন্ট
বার্স্ট এড়ানো যাবে।
২. আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য রিচ পিন এপ্লাই করুনঃ
রিচ পিন হল পিন্টারেস্ট এর একটি ফ্রি ফিচার আপনার পিনগুলাতে অধিক বিবরণ
এবং তথ্য সংযোজন করতে সাহায্য করে। রিচ পিন পিনারদের কাজের জন্য একটি
অনন্য মাধ্যম।
পিন্টারেস্ট এ পাঁচ প্রকার এর রিচ পিন পাবেন,
আর্টিকেল পিনএ আছে হেডলাইন, অথোর, ডেসক্রিপশন এবং লিঙ্ক দেওয়ার সুবিধা।
প্রোডাক্ট পিন এ আছে রিয়েল টাইম প্রাইসিং, পণ্যের সহজলভ্যতা, এবং প্রাপ্তিস্থান।
রেসিপি পিন এ আছে উপাদান এর তালিকা, রান্নার সময়, এবং পরিবেশনের তথ্য।
মুভি পিন এ আছে রেটিং, অভিনয় শিল্পিদের তালিকা এবং রিভিউ।
প্লেস বা স্থান এর পিন এ আছে ঠিকানা, ফোন নাম্বার এবং ম্যাপ।
আসুন এক নজরে রিচ পিন গুলা দেখতে কেমন সেটা দেখে নেই… রিচ পিন এর নিচে প্রোডাক্ট এর দাম দেখা যায়, রিচ পিনে আর্টিকেল এর ইনফো দেখা যায়,
রিচ পিন শুধু মাত্র ভেরিফাইড সাইটের জন্য। এটা করতে গেলে আপনি কখনই
অটোমেটিক্যালি করতে পারবেন না, এর জন্য সাইটে সবখানে সঠিক কোড বসিয়ে তারপর
রিচ পিনের জন্য এপ্লাই করতে হয়।
কিভাবে রিচ পিন অ্যাড করবেন?
সাইটে পিন্টারেস্ট কোড অ্যাড করুন। ওয়ার্ডপ্রেস সাইট হলে yoast দিয়ে
করতে পারেন। yoast এ নির্দিষ্ট স্থানে শুধু কোড বসিয়ে দিলেই হবে।
রিচ পিনের জন্য রিকুয়েস্ট করুন, ভেরিফিকেশন টুলেই আপনি ক্লিক টু এপ্লাই এর অপশন পাবেন।
ভেরিফাইড সম্পুর্ণ হলে, আপনি ইমেইল এ একটি নোটিফিকেশন পাবেন(এটা প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে)
এই স্টেপগুলা পার হলে, এখনকার এবং আগের সব পিন গুলাতে রিচ পিন এর
ইনফর্মেশন অ্যাড হয়ে যাবে যেমনঃ হেডলাইন, অথোর, ডেসক্রিপশন, লিঙ্ক
ইত্যাদি।
রিচ পিন সম্পর্কে পিন্টারেস্ট মার্কেটং টিম এর বক্তব্যঃ
“আমাদের রিচ পিন ভেরিফাইড হয় এপ্রিল এর ৭ তারিখে। এবং সেই
থেকে আমাদের ব্লগ এ পিন্টারেস্ট থেকে প্রতিদিন অ্যাভারেজ ১৮৯ টা করে ক্লিক
পাচ্ছিলাম, যেখানে এর আগে ক্লিকের পরিমান ছিল মাত্র ৮৫ টা” ।
তারমানে রিচ পিন ক্লিক সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
নিচে পিন্টারেস্ট মার্কেটং টিম এর বাফার ব্লগ এর ত্রিশ দিনের ক্লিক অ্যাক্টিভিটি দেখানো হলোঃ
আজ এ পর্যন্তই, পিন্টারেস্ট এর উপর আমার লেখা আরও দুইটা লেখা আসছে,
পরের পর্ব গুলাতে থাকছে,
পিন্টারেস্ট এ সঠিক সাইজের ইমেজ তৈরি,
অধিক ভালো ডেসক্রিপশন তৈরি,
একটা পিন এ একাধিক ইমেজ ইউজ করা,
টেক্সট সহ পিন তৈরি,
“Pin It for Later” লিঙ্ক তৈরি,
ব্লগ পোস্টের জন্য কিওয়ার্ড-রিচ বোর্ড ,
পিন্টারেস্ট মার্কেটিং রিলেটেড আরো বিবিধ টিপসসমূহ,
কিছু হেল্পফুল রিসোর্স যা আপনার পিন্টারেস্ট কে আরো বেশী জনপ্রিয় করে তুলবে